গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৭৭ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে প্রাণহানি সাড়ে ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজজুড়ে একের পর এক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৬ই জুন) মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত ও বহু আহত হন।

ইসরাইল দাবি করেছে, এই স্কুলটিকে হামাস তাদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছিল। শুক্রবার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি হামলায় নিহত ৯ জন হামাস সদস্যের নাম প্রকাশ করেন। তবে ইসরাইলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস।

জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে হামলার বিষয়ে ইসরাইলকে পুরোপুরি স্বচ্ছ তথ্য প্রকাশ করতে বলেছে আমেরিকা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইসরাইলকে স্কুলটিতে হামলায় নিহত হামাস সদস্যদের পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।

এদিকে, গত বছরের ৭ই অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় চরম বেকারত্ব দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই অঞ্চলে বেকারত্ব প্রায় ৮০ শতাংশ। প্রতি ১০ জনের ৮ জনই বেকার হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও বেকারত্বের হার প্রায় ৩২ শতাংশ।

অন্যদিকে, শিশুদের ওপর সহিংসতার জন্য ইসরাইলের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত অপরাধীদের তালিকায় যুক্ত করেছে জাতিসংঘ। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।